কক্সবাজারের চকরিয়ায় চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়। খবর পেয়ে তার মা ছুটে গেলে তাকেও তিন দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় কিশোরের চার বছরের এক বোনকেও আটকে রাখা হয়। চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড পালাকাটায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাত ১১টার দিকে মা ও তার দুই সন্তানকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চুরির অভিযোগে মা-ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের নির্যাতনের অভিযোগেও হয়েছে পাল্টা মামলা।
নির্যাতনের শিকার দুজন হলেন চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কোচপাড়ার প্রয়াত মো. রফিকের স্ত্রী রশিদা বেগম ও তার কিশোর ছেলে (১৬)।
পুলিশ জানায়, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় ওই কিশোর আমড়া বিক্রি করে সংসার চালায়। এদিকে টার্মিনাল এলাকায় দেড় মাস আগে আয়ুব আলীর মালিকানাধীন একটি কুলিং কর্নারে চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোর জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়।
শুক্রবার সকালে ওই কিশোর উখিয়ায় তার খালার বাড়ি বেড়াতে যায়। ওই দিন বিকেলে আয়ুব আলীসহ পাঁচ জনের একটি দল সেখানে যায়। পরে কিশোরকে হাত বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ার পালাকাটায় আনা হয়। সেখানে আয়ুবের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
পরে খবর পেয়ে চার বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তার মা রশিদা। তাকেও আটকে রাখা হয়। মা ও ছেলেকে কাঠ দিয়ে ও বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেটানো হয়। তাদের ওপর এই নির্যাতন চালানোর সময় চার বছরের মেয়েটিকে আলাদা করে রাখা হয়।
নির্যাতনের ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে চুরির ঘটনায় মা-ছেলের স্বীকারেক্তি আদায় করা হয়। পরে তিন শত টাকার স্ট্যাম্পে সই নেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে মো. হারুনর রশীদ নামের এক ব্যক্তি ওই মা ও ছেলের বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা করেছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের নিউজবাংলাকে বলেন, মা-ছেলেকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় আলাদা মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে ছেলেটিকে কিশোরকে সংশোধন কেন্দ্রে ও তার মাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।